এক নজরে কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা – Blogbazz

বর্তমান সময়ে যে সকল হেলদি বা স্বাস্থ্যকর খাবার আছে, তার মধ্যে কলা অন্যতম। কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা উভয় রয়েছে। কলা এমন একটি ফল যার মধ্যে ভিটামিন-বি৬ থাকে। যা দেহের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে। তাছাড়া কলা আঁশযুক্ত হওয়ায় এটি হজমশক্তি বাড়ায় ফলে সহজেই খাদ্য হজম হয়।
কলা খাওয়ার আরো অনেক ধরণের উপকারিতা রয়েছে। তাছাড়া কলা খাওয়ার কিছু অপকারিতাও আছে। আজকে রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা,গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা, নিয়মিত কলা খাওয়ার উপকারিতা, সকালে খালি পেটে কলা খাওয়ার উপকারিতা, শিশুদের কলা খাওয়ার উপকারিতা ও কলা খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করবো। আর তাই কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে অবশ্যয় পোস্টি ভাল করে পড়বেন।
কলা খাওয়ার উপকারিতা সমুহঃ
কলা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষভাবে উপকারি। কলা হল একটি ক্যালরি ও শর্করা জাতীয় ফল যা বিভিন্ন পোষণাত্মক উপাদান উপস্থাপন করে। কটি বড় মাপের কলা খেলে ১০০ ক্যালরি বা তার অধিক শক্তি পাওয়া যায়। কলাতে রয়েছে হজমযোগ্য শর্করা যা খেলে খাদ্য সহজে হজম হয়।
রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতাঃ
কলায় প্রচুর পরিমানে পটাশিয়াম থাকে। কাজেই ক্লান্তিকর দিনের পর রাতে প্রচুর ঘুমের জন্য, রাতে কলা খাওয়া উপকারি হতে পারে। শরীরের পেশিকে আরাম দেয় পটাশিয়াম। যেহেতু কলাতে পটাশিয়াম থাকে, তাই রাতে ঘুমানোর আগে ১-২ টা কলা খেলে দেহ ভাল ঘুমের প্রস্তুতি পাই। তাছাড়া রাতে কলা খেলে অনেকের ভুক্তি মুক্ত থাকে। কলা মধ্যে থাকা সস্তা ও ফাইবার উচ্চ মাত্রা থাকায় সেটি পেট খালি রাখে না এবং লম্বা সময় পর্যন্ত সতীত থাকা সাধ্য হয়।
গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতাঃ
পৌষ্টিকতা প্রদানঃ গর্ভকালীন মা হিসেবে আপনি পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। কলার মধ্যে থাকা সস্তা এবং উচ্চ ফাইবারের পরিমাণ কলাকে একটি উত্তম খাবার হিসেবে গণ্য করে। এটি আপনার ও আপনার শিশুর পোষণ প্রদান করে। তাছাড়া কলা উচ্চ কার্বোহাইড্রেইট সমৃদ্ধ হওয়ায় মহিলাদের প্রয়োজনীয় শক্তির চাহিদা পূরণ করে। কলাতে রয়েছে হিমোগ্লোবিন যা রক্তস্বল্পতার মাত্রা কমায়। তাই গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা নারীদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
ক্যান্সার প্রতিরোধে কলার ভূমিকাঃ
কলার ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কলার মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপাদান এবং সামগ্রী ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। কলার মধ্যে থাকা ফাইবার ক্যান্সার প্রতিরোধে উপকারী হতে পারে কারণ এটি পাচনশক্তি উন্নয়ন করে এবং কোলনের ভিতরে থাকা ক্যান্সার উত্তেজনা প্রতিরোধ করে। কলার মধ্যে থাকা ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য পারে। কারণ এগুলি শরীরের রোগ প্রতিরোধ সিস্টেম বিকল্প করে।
কলার মধ্যে থাকা আন্তজনিত অক্সিডেন্ট প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে কারণ এটি শরীরে থাকা বিভিন্ন প্রতিশতক অক্সিডেন্ট নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এছাড়াও কলার মধ্যে থাকা বিশেষ উপাদান একটি শক্তিশালী এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
সকালে খালি পেটে কলা খাওয়ার উপকারিতাঃ
বিভিন্ন ধরণের ফলের মধ্যে চিনির জন্য কলা সেরা। কারণ কলাতে থাকে প্রচুর পরিমানে চিনি। যা সকালে খালি পেতে খেলে তাৎক্ষণিকভাবে শরীরে অনেক এনার্জি পায়। কলার মধ্যে থাকা পোটাশিয়াম হৃদয়ের স্বাস্থ্য উন্নয়নে সাহায্য করে। এটি নিয়ন্ত্রণ করে হৃদয়ের কাজ এবং রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া কলার মধ্যে থাকা ফাইবার ও পোটাশিয়াম শরীরে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
শিশুদের কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতাঃ
শিশুদের কলা খাওয়ার উপকারিতাঃ
কলা সম্পূর্ণ শক্তিশালী ফল যা শিশুদের উচ্চ শক্তি প্রদান করে। এটি ক্যার্বোহাইড্রেট এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে। কলায় ভরপুর পরিমাণে ভিটামিন বি এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান থাকে যা শিশুদের ব্রেইন এর উন্নয়ন সহায়তা করতে পারে। তাছাড়া কলার পাচনশক্তি বাড়ানোর ক্ষমতা থাকে যা শিশুদের খাদ্য পরিণতি উন্নয়ন করে এবং তাদের হজম শক্তি বাড়াই। তাই বলা যায়, শিশুদের কলা খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি।

কলা খাওয়ার অপকারিতাঃ
সাধারণত কলা একটি স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর ফল। তবে কিছু ক্ষেত্রে কলা খেলে উপকারের পরিবর্তে অপকার হয়ে যায়। কলা খাওয়ার অপকারিতাঃ
১। হাইপারকালেমিয়া: কলা বেশি খেলে হাইপারকালেমিয়া হতে পারে, যা ক্রমশ শরীরের রক্তচাপ বা হৃদয়ের সমস্যার কারণ হতে পারে।
২। অধিক গ্যাস উৎপাদন: কলা খেলে গ্যাস উৎপাদন হতে পারে এবং এর ফলে মানসিক ও শারীরিক অস্বস্থতা হতে পারে।
৩। এলার্জি: কিছু মানুষের কলা খাওয়া ফলে এলার্জি হতে পারে। এই অবস্থাতে কলা খাওয়ার জন্য সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
৪। প্রজননতন্ত্র সমস্যা: কলা খেলে প্রজননতন্ত্র সমস্যা হতে পারে এবং প্রজননশক্তি কমে যাওয়া সম্ভব হতে পারে।
শেষ কথাঃ
সার্বিকভাবে কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা বিবেচনা করলে দেখা যায়, কলার উপকারিতা অনেক বেশি। কলা একটি স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর ফল হওয়ায় এটি ক্যার্বোহাইড্রেট এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে। কলা ভিটামিন-বি৬ জাতীয় ফল হওয়ায় দেহের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে সাহায্য করে।
তাছাড়া কলা আঁশযুক্ত খাদ্য হওয়ায় এটি হজমশক্তি বাড়ায় ফলে সহজেই খাদ্য হজম হয়। এই চিলো আজকের কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। ধন্যবাদ!
ট্যাগ সমুহঃ
- রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা
- নিয়মিত কলা খাওয়ার উপকারিতা
- সকালে খালি পেটে কলা খাওয়ার উপকারিতা
- শিশুদের কলা খাওয়ার উপকারিতা
- কলা মধু একসাথে খেলে কি হয়